Breaking

...

Thursday, 20 December 2018

আত্মরক্ষার জন্য উশু/কংফু শিখুন


কুংফু খুবই আকর্ষণীয় একটা বিষয়। আত্মরক্ষার জন্য মানুষ এই কুংফু ব্যবহার করে থাকে। এই কুংফু হচ্ছে এক প্রকারের কারাতে বা মার্শাল আর্ট। প্রত্যেকেই কমবেশি চীনা সিনেমায় কুংফু দেখেছেন? আর কুংফুর নাম এলেই চোখে ভেসে উঠবে চীনা ছবির নানা দর্শনীয় কসরতে যুদ্ধের চিত্রগুলো। এসব দেখে একসময় হয়তো চীনা মানেই কুংফু, কিংবা কুংফু মানেই চীনা বলে মনে হয়েছে। চীনে এই কুংফুকে বলা হয় ‘উ-শু’।

 কুংফু বা ‘উ-শু’ শব্দের উৎপত্তি: 

 আধুনিক চাইনিজ মার্শাল আর্ট উশু সম্মন্ধে কিছু বলতে গেলেই উশু কি? চাইনিজ ভাষায় ‘উ’ শব্দের অর্থ মানুষের আত্মরক্ষা এবং ‘শু’ শব্দের অর্থ কৌশল। তাহলে উশু শব্দের পূর্ন অর্থ হল মানুষের আত্মরক্ষার কৌশল। আমাদের বর্তমান সামাজিক অবস্থা এমন যে, অর্থের পিছনে ছুটে সবাই পাগল কিন্তু যে শরীর দ্বারা আমরা অর্থ উপার্জন করি সেই শরীর যদি সুস্থ্য না থাকে এমন জীবনের অর্থ অনর্থের কারণ হয়ে দারাবে। তাই ‘উশু’ আপনাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে। ‘উশু’ আপনাকে যেভাবে সাহায্য করে থাকে। 

সেগুলো হল:

 ১. শরীরকে সুস্থ্য রাখে
 ২. শরীরের শক্তিকে বৃদ্ধিকর।
 ৩. ইচ্ছাশক্তিকে শক্তিশালী করা ও সঠিক নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে উপভোগ করা
 ৪. শত্রুকে দমন করা
 ৫. যে কোন রোগের হাত থেকে রক্ষাপাওয়ার প্রতিষেধক শক্তি উৎপন্ন করা
 ৬. বুদ্ধিমত্বা ও সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার বিভিন্ন কলা-কৌশল অনুশীলন করা
 ৭. শরীরকে অপ্রয়োজনীয় মেদ এবং অতিরিক্ত শীর্নকায় অবস্থা থেকে মুক্ত রাখা।
 আমি মনেকরি এবং বিশ্বাস করি সবচাইতে স্বল্প সময়ে একমাত্র চাইনিজ মার্শাল আর্ট উশু চর্চা-অনুশীলনই এ সমস্ত পেতে আমাদেরকে সাহায্য করবে।

সুতরাং দেশের অভ্যন্তরে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, সন্ত্রাসী, জঙ্গীচর্চা ও অসামাজিক কর্মকান্ড রোধ করার সাথে সাথে যাতে এসমস্ত মন মানসিকতার কেউ সৃষ্টি করতে না পারে তার প্রতি দৃষ্টি রাখা বা ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ এবং সেটাই হবে উত্তম। এখন স্বাস্থ্য বলতে আমরা বুঝব: অধিক পরিশ্রম ও কষ্ঠ সহ্য করার মতো শরীর তৈরি করা এবং মানসিক শক্তির অধিকারী হওয়া, নিজেকে রোগ মুক্ত রাখা। এ সমস্ত কিছুর পরেও মেয়েদের জন্য চাইনিজ মার্শাল আর্ট উশু আরও ভিন্ন কিছু পেতে সাহায্য করে তা হচ্ছে: সৌন্দর্য, স্বাস্থ্য, মানসিক শক্তি ও ইভটিজিং এবং বর্বর মানুষের আক্রমন থেকে নিজেকে রক্ষাকরার পদ্ধতি।

 বর্তমানে বিশ্বে মেয়েদেরকেও পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিভিন্ন কাজ কর্মময় জীবন যাপন করতে হচ্ছে সেহেতু মেয়েদের কে অবশ্যই চাইনিজ মার্শাল আর্ট উশু শিখতে হবে।

 তবে বাংলাদেশের মানুষ যদি সুন্দর ও সুস্থ্য না হয় তবে কোন সরকারের পক্ষেই সম্ভব নয় দেশ ও দেশের উন্নয়ন করা। সুতরাং দেশের, সমাজের ও মানুষের মত মানুষ হয়ে বেচে থাকার জন্য চাইনিজ মার্শাল আর্ট উশু অনুশীলন প্রতিটি নাগরিকের জন্য অপরিহার্য।

তাই দেশের বালিকা বিদ্যালয়-মহাবিদ্যালয় গুলোতে চাইনিজ মার্শাল আর্ট উশু প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত এ ব্যপারে সরকারী বেসরকারী উশু ক্লাব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলা একান্ত আবশ্যক। যে কোন মানুষের আচরনের নির্দেশিকা হচ্ছে মূল্যবোধ এই মূল্যবোধের উপর আমারা উত্তম সমাজ গড়ে তুলতে পারি। তাই চায়নিজ মার্শাল আর্ট উশুর নতুন ভুবনে শুরু হোক আপনার নতুন অভিযাত্রা। নিজে সুস্থ্য থাকুন এবং অন্যকে সুস্থ্য রাখার জন্য সহায়তা করুন। আত্মরক্ষার জন্য চাইনিজ মার্শাল আর্ট উশু শিখুন, জঙ্গীচর্চা, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক মুক্ত দেশ গড়ুন।

 লেখক: মো: কামাল হোসেন (আইনজীবী) 

 ভাইস প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ‘উশু’ অ্যাসোসিয়েশন সহ-সম্পাদক

 ( কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি) বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ                                                                                                                                                                                                       copy post  newsg24.com

1 comment:

  1. Sir,
    my son is about 6, he is interest to kung fu. our address natunbazar, baridhara nurerchala, gulshan-2, I find a kung fu center which is located near my address. cell no. 01950472700

    ReplyDelete